1. admin@thedailystep.live : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পৃথক জন্মনিবন্ধনে সরকারি দুই চাকরি নেওয়া সুজনকে লালমনিরহাটে বদলী রোহিঙ্গাদের ‘আলাদা রাজ্যের’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের পাহাড়-বন উজাড় করে বসতভিটা দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করল বিজিবি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচার-প্রক্রিয়া সহজীকরণে কার্যক্রম চলমান: প্রধান বিচারপতি অপতথ্যের সবচেয়ে বড় সোর্স ভারতীয় মিডিয়া: প্রেস সচিব দেশকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো ফরজ: প্রেস সচিব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতি গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা চবির ৫ম সমাবর্তন বাস্তবায়নে কাজ করছে ১৯টি উপ-কমিটি

বিপিএল: চিটাগংকে কাঁদিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

দ্য ডেইলি স্টেপ ডেস্ক:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত

টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের দৃঢ়তায় দুইশ ছুইছুই সংগ্রহ পেয়েছিল চিটাগং কিংস। লক্ষ্য তাড়ায় ফরচুন বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে তাওহিদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্স দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন। মাঝের ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে চিটাগংকে ম্যাচে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তবে দুই ছক্কায় মিরপুরে বরিশালের নায়ক বনে যান রিশাদ হোসেন। তাতেই  চিটাগংকে কাদিয়ে বিপিএলের আসরে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণবঙ্গের ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটি।

বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই এবারের আসরে মাঠে নামার আগে তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল শিরোপা ধরে রাখা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে তামিম-মাহমদুউল্লাহরা। একাদশ আসরের ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে তামিম ইকবালের দল।

অন্যদিকে প্রায় এক দশক পর বিপিএলের ফিরেছিল চিটাগং কিংস। আসরে ফিরেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল তারা। এর আগে বিপিএলে দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে ৫১ রান হেরে শিরোপা খুইয়েছিল চিটাগং। এবারেও একই হতাশা নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা।

ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আলিস আল ইসলামের অভাব হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছে দলটি। তবে শিরোপা জয়ের সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু ফাইনালের মতো ম্যাচে বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুলগুণতে হয়েছে সামির কাদির চৌধুরীর দলকে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও বরিশালের কাছে ট্রফিটাই হারিয়েছে চিটাগং।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করে বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ৪ বল এবং ৩ উইকেট হাতে থাকতে জয় তুলে নেয় বরিশাল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলে বরিশাল। ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।

নবম ওভারে শরিফুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিথুন। এই ওভারের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে খেলা ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ২৯ বলে ৫৪ রান করে ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। দুই বল পরে ডেভিড মালানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।

এতে দলীয় ৭৮ রানে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হৃদয়। কিন্তু ১১তম ওভারে নাঈমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর বলে বলে বাউন্ডারি মেরে বরিশালকে এগিয়ে নিতে থাকেন কাইল মায়ার্স।

কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে সাজঘরে পথ দেখান শরিফুল। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। এক বল পরে কট আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ১৯তম ওভারে ১২ রান তোলে বরিশাল। এতে ৬ বলে বরিশালে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র  করেন তিনি। তৃতীয় বলটি ওয়াইট করলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বরিশাল।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাঈম হাসান দুটি ও বিনুরা ফার্নান্দো এক উইকেট শিকার করেন তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন খাজা নাফি ও পারভেজ ইমন। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে চিটাগং। ২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।

অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন নাফিও। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই পাকিস্তানি ব্যাটারও। ২ ছক্কা ও ৬টি বাউন্ডারি হাকান তিনি। দুজনে মিলে ১২১ রানের জুঁটি গড়ে।

১৩তম ওভারে এবাদতের হাতে বল তুলে দেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় বলে নাফি বাউন্ডারি মারলেও পরের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে দেন নাফি। এতে ১২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় চিটাগং। এরপর পারভেজ ইমনকে সঙ্গ দেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

সময়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট চালানোর গতি বাড়িয়েছে এই দুই ব্যাটার। এদিন ইনিংসের মাঝে পায়ে ব্যথা পান গ্রাহাম। তারপরও বলে বলে রান নিতে থাকেন তিনি। কিন্তু ২০ ওভারে দ্বিতীয় বলে ডাবল নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

এক বল পরেই ক্যাচ আউট হন শামীম। শেষ পর্যন্ত ইমনের ৪৯ বলের অপরাজিত ৭৮ রানে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল চিটাগং কিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১৯৪/৩ (পারভেজ হোসেন ইমন ৭৮*, খাজা নাফি ৬৬, গ্রাহাম ক্লার্ক ৪৪, শামিম হোসেন ২, হুসাইন তালাত ০*; মোহাম্মদ আলী ১/২১, এবাদত হোসেন ১/৩৫)
ফরচুন বরিশাল: ১৯.৩ ওভারে ১৯৪/৩ (তামিম ইকবাল ৫৪, কাইল মায়ার্স ৪৬, তাওহিদ হৃদয় ৩২, রিশাদ হোসেন ১৮*, মুশফিকুর রহিম ১৬; শরিফুল ইসলাম ৪/৩৪, নাইম ইসলাম ২/১৮, বিনুরা ফার্নান্দো ১/৪২)
ফল:  ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ